সুস্থায়ী কৃষিতে সবুজ বিপ্লব সম্পর্কে আলোচনা।
সবুজ বিপ্লব
‘সবুজ বিপ্লব’-এর অর্থ হল কৃষিজাত ফসলের উৎপাদন বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি পাওয়া। প্রকৃতপক্ষে সবুজ বিপ্লব বলতে ১৯৪০ থেকে ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন গবেষণা ও উন্নত কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে পৃথিবীব্যাপী, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলির কৃষিজ ফসলের উৎপাদনের নাটকীয় বৃদ্ধিকে বোঝায়।
সবুজ বিপ্লব কথাটির প্রথম ব্যবহার :-
‘সবুজ বিপ্লব’ শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন United States Agency for International Development (USAID)-এর অধিকর্তা উইলিয়াম গাউড (William Goud)। তিনি Green Revolution সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছেন, These and other developments in the field of agriculture contain the makings of a new revolution. It is not a violent Red Revolution like that of the Soviets, nor is it a White Revolution like that of the Shah of Iron. I call it the Green Revolution.”
সবুজ বিপ্লবের ইতিহাস :-
- (১) সবুজ বিপ্লবের সূত্রপাত হয় আমেরিকার বিজ্ঞানী নরম্যান বোরলগের হাত ধরে ১৯৪০ এর দশকে মেক্সিকোতে। বোরলগ ১৯৪০-এর দশকে রোগ প্রতিরোধক উচ্চফলনশীল গম বীজ আবিষ্কার করেন। এই গম বীজ ও নতুন কৃষিপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মেক্সিকো তার অভ্যন্তরীণ চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি গম উৎপাদন করে এবং ১৯৬০-এর দশকে মেক্সিকো গম রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হয়।
- (২) মেক্সিকোতে সবুজ বিপ্লবের সাফল্য লক্ষ্য করে ১৯৫০ থেকে ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে সবুজ বিপ্লবের প্রযুক্তি সমগ্র পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। সবুজ বিপ্লবের প্রভাবে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে গম উৎপাদনে স্বয়ম্ভর হয়ে ওঠে এবং ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে পৃথিবীর একটি অগ্রগণ্য গম রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হয়।
- (৩) সবুজ বিপ্লবের প্রযুক্তি ব্যবহার করে পৃথিবীর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জন্য খাদ্যশস্য উৎপাদন ফাউন্ডেশন ও ফোর্ড ফাউন্ডেশন এবং অন্যান্য দেশের সরকার এই বিষয়ে গবেষণার জন্য অর্থ বিনিয়োগ করে। ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দে এই উদ্যোগের ফলে আন্তর্জাতিক ভুট্টা এবং গম উৎকর্ষসাধন কেন্দ্র’ স্থাপিত হয়।
সবুজ বিপ্লবের জনক :-
সবুজ বিপ্লবের জনক বলা হয় আমেরিকান বিজ্ঞানী ড. নরম্যান ই. বোরলগ (Dr. Norman E. Borlaug)-কে।
ভারতে সবুজ বিপ্লবের জনক :-
জাতীয় কৃষক কমিশনের চেয়ারম্যান ডক্টর এম এস স্বামীনাথন ভারতে সবুজ বিপ্লবের জনক হিসেবে পরিচিত।
সবুজ বিপ্লব সফল হওয়ার কারণ :-
প্রথমে মেক্সিকো এবং তারপর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সবুজ বিপ্লব সাফল্য লাভ করার পিছনে কতকগুলি কারণ রয়েছে। যেমন –
(১) উচ্চফলনশীল বীজের ব্যবহার :-
সবুজ বিপ্লব সাফল্য লাভ করার প্রধান কারণ হল উচ্চফলনশীল বীজের ব্যবহার। ভারতে ব্যবহৃত এমন কয়েকটি উচ্চফলনশীল গম বীজ হল লারমা রেজো 644, সোনারা-64, কল্যান সোনা প্রভৃতি এবং কয়েকটি ধান বীজ হল আই আর-8 (IR-8), জয়া, পদ্মা প্রভৃতি। উচ্চফলনশীল বীজের ব্যবহারে শুধু হেক্টর প্রতি উৎপাদনই বৃদ্ধি পায় নি, সেই সঙ্গে এই বীজের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেশি।
(২) জলসেচের উন্নতি ও কৃষিজমির সম্প্রসারণ :-
জলসেচ ব্যবস্থার বিজ্ঞানসম্মত ব্যবহারের জন্য নতুন নতুন অঞ্চলে বিশেষ করে শুষ্ক মরু অঞ্চলেও কৃষিকাজ করা সম্ভব হচ্ছে। ফলে কৃষিকাজে নিয়োজিত জমির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউনাইটেড নেশনস-এর ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশনের রিপোর্টে বলা হয় ভারতে চূড়ান্ত স্থিতিশীল জলসেচের ক্ষমতা হল ১৩৯.৫ মিলিয়ন হেক্টর। প্রধান ও মাঝারি নদীবিধৌত খাল দ্বারা সেচসেবিত জমির পরিমাণ ৫৮.৫ MHA।
(৩) একফসলি জমিকে বহুফসলি জমিতে রূপান্তর :-
দ্রুত পাকে এমন বীজের ব্যবহার এবং জলসেচের মাধ্যমে সারাবছর জলের জোগানের জন্য একফসলি জমিকে বহুফসলি জমিতে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এর ফলে কৃষিজ ফসল উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
(৪) পতিত জমিকে কৃষিজমিতে রূপান্তর :-
দেশের মানুষের জন্য খাদ্যশস্যের উৎপাদন বাড়ানোর উদ্দেশ্যে আধুনিক কৃষিপ্রযুক্তি ব্যবহার করে পতিত জমিকে কৃষিজমিতে রূপান্তরিত করতে পারায় কৃষিজ ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।
(৫) কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের ব্যবহার :-
উন্নতমানের কীটনাশক ব্যবহার প্রধানত ফলিডল, প্যারাথিয়ান, ম্যালাথিয়ান প্রভৃতি জৈব ফসফরাস ব্যবহার করার ফলে রোগ সংক্রমণজনিত কারণে ফসল উৎপাদন হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা কমেছে। সেই সঙ্গে রাসায়নিক সার প্রয়োগ করায় একদিকে উৎপাদন যেমন বেড়েছে অপরদিকে মৃত্তিকায় পুষ্টি মৌলের জোগান অব্যাহত রেখে একই জমিতে একাধিকবার ফসল উৎপাদনও সম্ভবপর হয়েছে।
(৬) আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহার :-
কৃষিকাজে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহারের ফলে কৃষিকাজের উৎপাদন হার যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি ফসলের গুণমানও বৃদ্ধি পায়। একই সঙ্গে ফসল উৎপাদনের সময়সীমা কমায় একই জমিতে একাধিকবার ফসল ফলানো যায় এবং ফসলের উৎপাদন ব্যয় হ্রাস পায়।
(৭) সরকারি সাহায্য দান :-
পৃথিবীর যে সমস্ত দেশে সবুজ বিপ্লব ঘটেছে সেখানে সরকারের পক্ষ থেকে কৃষকদের উচ্চফলনশীল বীজ, উন্নতমানের কীটনাশক ও রাসায়নিক সার প্রভৃতি বিতরণ করা হয়েছে। আবার আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য স্বল্প সুদে ব্যাংক থেকে ঋণদানেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১৬ টি রাজ্যে কৃষকদের জন্য জাতীয় কৃষি সংক্রান্ত বিমা স্কিম প্রচলিত হয়েছে। এই সমস্ত কারণেই স্বল্প উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলির কৃষিকাজে সবুজ বিপ্লব ঘটেছে।
সবুজ বিপ্লবের প্রভাব :-
কৃষিতে সবুজ বিপ্লব একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এই সবুজ বিপ্লবের একদিকে যেমন কিছু ইতিবাচক বা অনুকূল প্রভাব রয়েছে অপরদিকে তেমনি এর কিছু প্রতিকূল প্রভাব বা কুফলদায়ী প্রভাবও লক্ষ্য করা যায়। যেমন –
(ক) অনুকূল প্রভাব :-
সবুজ বিপ্লবের অনুকূল বা ইতিবাচক প্রভাব হল নিম্নরূপ –
(১) খাদ্যের জোগান বৃদ্ধি :-
সবুজ বিপ্লবের ফলে খাদ্যশস্যের উৎপাদন নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বহু মানুষের খাদ্যের সংস্থান যেমন হয়েছে তেমনি বহু মানুষকে অপুষ্টির হাত থেকে রক্ষা করা গেছে। এ প্রসঙ্গে উদাহরণ হিসেবে বলা যায় সবুজ বিপ্লবের প্রভাবে ১৯৫০-১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে পৃথিবীর মোট খাদ্যশস্যের উৎপাদন প্রায় ২৫০% বৃদ্ধি পেয়েছে।
(২) কৃষিপ্রযুক্তির বিস্তার :-
সবুজ বিপ্লবের পূর্বে আধুনিক সেচ ব্যবস্থা, উচ্চফলনশীল বীজের ব্যবহার, কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের ব্যবহার, জিন প্রযুক্তির মাধ্যমে উন্নতমানের বিভিন্ন ফসলের বীজ উদ্ভাবন প্রভৃতির মতো আধুনিক কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বিশ্বের মুষ্টিমেয় কিছু শিল্পোন্নত দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু সবুজ বিপ্লবের পর এই সমস্ত কৃষিপ্রযুক্তি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
(৩) কৃষিভিত্তিক শিল্পের বিকাশ :-
সবুজ বিপ্লবের সাফল্য অত্যাধুনিক সেচ কৌশল, আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি, কীটনাশক, আগাছানাশক, উন্নতমানের নাইট্রোজেন সমৃদ্ধ রাসায়নিক সার প্রভৃতির ওপর নির্ভরশীল। ফলে সবুজ বিপ্লবের সুফল পাওয়ার জন্য এই সমস্ত কৃষি উপকরণ উৎপাদনকারী শিল্পকেন্দ্রের বিকাশ ঘটে।
(৪) শস্য আমদানির পরিমাণ হ্রাস :-
সবুজ বিপ্লবের প্রত্যক্ষ প্রভাবে খাদ্যশস্য উৎপাদনের পরিমাণ বহুগুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় উন্নয়নশীল দেশগুলিতে বাইরে থেকে খাদ্যশস্য আমদানির পরিমাণও ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। এর ফলে উন্নয়নশীল দেশগুলির জাতীয় সঞ্চয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
(৫) কৃষকদের উন্নতি :-
ফসলের উৎপাদন হ্রাস বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কৃষকদের রোজগারের পরিমাণও বৃদ্ধি পায়, তাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ঘটে এবং আর্থিক অবস্থা পূর্বের তুলনায় অনেক ভালো হয়। তবে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে ১০ হেক্টরের বেশি জমির মালিকানা রয়েছে এমন কৃষকই এই সুযোগ পেয়ে থাকে।
(৬) কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি :-
একদিকে সবুজ বিপ্লবের ফলে কৃষি খামারের যান্ত্রিকীকরণ হয়ে গেলে যেমন অনেক কৃষক তাদের কাজ হারাবেন তেমনি অপরদিকে সবুজ বিপ্লব একটি ফসলের পরিবর্তে একাধিক ফসল উৎপাদনের সুযোগ সৃষ্টি করে বলে একাধিক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি হয়।
(খ) প্রতিকূল প্রভাব :-
সবুজ বিপ্লবের প্রতিকূল বা নেতিবাচক প্রভাব হল নিম্নরূপ –
(১) আন্তঃফসল বৈষম্য :-
সবুজ বিপ্লবের ফলে ধান, গম, জোয়ার, বাজরা, রাগী, ভুট্টা প্রভৃতি শস্যের উৎপাদন বৃদ্ধি পেলেও তৈলবীজ, ডাল, অন্যান্য মোটা দানাশস্য প্রভৃতির ক্ষেত্রে এর প্রভাব তেমন বোঝা যায় নি। আবার, চা, কফি, পাট, কার্পাস প্রভৃতির মতো প্রধান বাণিজ্যিক শস্য সবুজ বিপ্লবের সাফল্য থেকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত। এ প্রসঙ্গে উদাহরণ হিসেবে বলা যায় ভারতে প্রথম সবুজ বিপ্লবের সময়কালে (১৯৬৭-৬৮ থেকে ২০০৬-২০০৭ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে) ডালের উৎপাদন প্রতি বছরে ১.৩৯% থেকে কমে ০.৭৯% হয়েছে।
(২) আঞ্চলিক বৈষম্য :-
সবুজ বিপ্লব সাফল্য লাভ করেছে এমন দেশের সব প্রদেশে সবুজ বিপ্লবের প্রভাব সমান নয়। এর ফলে একই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বৈষম্য লক্ষ্য করা যায়। যেমন – ভারতের মাত্র ৪০% কৃষি অঞ্চলে সবুজ বিপ্লব ফলপ্রদ হলেও বাকি ৬০%-এ এর কোনো প্রভাব লক্ষ্য করা যায় না। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমাংশ, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু সবুজ বিপ্লবের সুবিধা ভোগ করলেও সমগ্র পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারত এর সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
(৩) বিপণনের সমস্যা :-
সবুজ বিপ্লবের ফলে ধান, গম প্রভৃতির মতো দু-একটি প্রধান ফসলের উৎপাদন এত বৃদ্ধি পেয়েছে যে উদ্বৃত্ত ফসল সংরক্ষণ করা বা বিক্রয় করার ক্ষেত্রে উপযুক্ত ব্যবস্থা করতে না পারলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
(৪) জীববৈচিত্র্য হ্রাস :-
- (i) কৃষিতে সবুজ বিপ্লবের ফলে কৃষিজ জীববৈচিত্র্য হ্রাস পাচ্ছে। একথা পরিষ্কার যে, মাত্র কয়েকটি প্রজাতির ফসলকে নিয়েই সবুজ বিপ্লবের পরিকল্পনা করা হয়েছে। তার ফলে আরও বহু প্রজাতির দানাশস্য বা অন্যান্য প্রজাতির শস্যের উৎপাদন হয় উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে, কিংবা সেগুলি চিরতরে বিলুপ্ত হয়েছে।
- (ii) বন্য জীববৈচিত্র্যের ক্ষেত্রেও সবুজ বিপ্লব ব্যাপক ধ্বংসাত্মক প্রভাব বিস্তার করেছে। সবুজ বিপ্লবকে সফল করে তুলতে বহুদেশেই ব্যাপক হারে বন ধ্বংস করে কৃষিজমির আয়তন বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর ফলে বহু জীব প্রজাতি চিরতরে বিলুপ্ত হয়েছে বা বিপন্ন প্রজাতিতে পরিণত হয়েছে। ব্রাজিলে কৃষিজমির সম্প্রসারণ করতে গিয়ে আটলান্টিক ক্রান্তীয় বৃষ্টি অরণ্যের প্রায় ৮৫ শতাংশ ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে এবং ৯৫ শতাংশ ২০১০ খ্রিস্টাব্দে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে।
(৫) কীটনাশক ও ক্যানসার :-
সবুজ বিপ্লবের ফলে কৃষিজমিতে যথেচ্ছ হারে সালফেট ও অর্গানোক্লোরিন সমৃদ্ধ কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে এই দুটি কীটনাশক ক্যানসার রোগের সম্ভাবনা বহুগুণ বৃদ্ধি করে। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায় ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে সবুজ বিপ্লব ব্যাপকভাবে সাফল্য লাভ করেছে। কিন্তু Post Graduate Institute of Medical Education and Research-এর এক সমীক্ষায় দেখা গেছে ঝালোয়ার, পুক্কা, খারা, ভীমাওয়ালি প্রভৃতি গ্রামগুলিতে ক্যানসার রোগের প্রকোপ বেড়েছে।
উপসংহার
১৯৬০-এর দশকে ভারত, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে সবুজ বিপ্লবের সূচনা হয়। তবে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাবে সবুজ বিপ্লব বিকাশ লাভ করতে পারে নি।